পাম তেলের চাহিদায়
ইন্দোনেশিয়ায় বন উজাড়
ইমন
Source: www.dailyjanakantha.com, 25th Feb-2011
ইন্দোনেশিয়ায় বন উজাড়
লিপস্টিক থেকে আইসক্রিম, সবখানেই লাগে পাম আর পাম তেল। ইউরোপসহ সারা বিশ্বে পাম তেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে? আগামী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পাম তেলের চাহিদা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। আর এর পরিণতিতে বনাঞ্চল উজাড় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা। লিপস্টিক বলুন বা সাবান। শেভিং ফোম বা আইসক্রিম_ সব কিছুতেই ব্যবহৃত হচ্ছে পাম তেল। পরিবেশবাদী একটি সংস্থার মতে, আজকাল সুপার মার্কেটগুলোতে যত প্যাকেটজাত সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে তার অর্ধেকেই পাম তেল ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু কেন পাম তেলের এত ব্যবহার? ফেডারেল এ্যাসোসিয়েশন অব জার্মান ফুড ইন্ডাস্ট্রির পেটার ফেলার বলছেন, অন্যান্য তেলের চেয়ে পাম তেলের বৈশিষ্ট্য আলাদা। এছাড়া এক হেক্টর জমিতে ক্যানোলা উৎপাদন করলে তা থেকে যতটুকু তেল পাওয়া যায়, পাম তেলে পাওয়া যায় তার চেয়ে ছয়গুণ বেশি। রান্নার তেল হিসেবেও এটি বেশ জনপ্রিয়। জনপ্রিয় জৈব জ্বালানি হিসেবেও।
পাম তেলের গল্পের শুরম্নটা ১৮৪৮ সালে, পশ্চিম আফ্রিকায়। এরপর সে তার গ-ি পেরিয়ে দূর প্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পাম তেল উৎপন্ন হয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়। বিশ্বে যত পাম তেল উৎপন্ন হয় তার শতকরা ৯০ ভাগই হয় ওই দুটি দেশে। এই ছবিটিকেই খুঁজছেন আপনি কিন্তু এটা করতে গিয়ে ক্রমেই বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। যেটা পরিবেশবাদীদের মাথা ব্যথার কারণ। তাঁরা বলছেন, আরও বেশি জমিতে পাম তেল চাষের জন্য ইন্দোনেশিয়ার রেইনফরেস্ট ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যেমন ১৯৬৭ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অয়েল পামের চাষ হয়েছিল ২,০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে, আর এখন তা ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে বন ধ্বংস হতে থাকায় অবমুক্ত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই অঙ্াইড। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ইন্দোনেশিয়া সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে সামাজিক সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে এই পাম তেল। কেন না বন কাটার কারণে আদিবাসীরা তাদের ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। এছাড়া ওরাংওটাংসহ সুমাত্রা ও বোর্নিওর হাতি, বাঘ ও গ-াররাও আজ হুমকির মুখোমুখি। এসব কারণে পাম তেলের যারা বড় ক্রেতা তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। যেমন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে ইউনিলিভার। কারণ বিশ্বে উৎপাদিত মোট পাম তেলের শতকরা চার ভাগই কিনে নেয় তারা। এছাড়া ফুড জায়ান্ট নেসলে তার বিখ্যাত আইটেম কিটক্যাটের বিজ্ঞাপনে ওরাংওটাংকে যুক্ত করে রীতিমতো বিপদে পড়ে গিয়েছিল। শেষমেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিজ্ঞাপনটি।
এত সব আলোচনা-সমালোচনা, আন্দোলন ও উদ্বেগের কারণে কিছুটা সচেতনতা অবশ্য সৃষ্টি হয়েছে। যেমন টেকসই পাম তেল উৎপাদনের জন্য সৃষ্টি হয়েছে 'রাউন্ডটেবিল অন সাসটেইনেবল পাম অয়েল' নামক একটি সংগঠন। এতে অনত্মর্ভুক্ত করা হয়েছে খাদ্য উৎপাদক, প্রক্রিয়াজাতকারক এবং বিভিন্ন এনজিও ও বিনিয়োগকারীদের। এখানে 'টেকসই পাম তেল' বলতে সেসব তেলকে বুঝানো হয়েছে যেটা বনাঞ্চল ধ্বংস না করে উৎপাদন করা কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন তেল কিনতে গেলে দাম বেশি পড়ে। এ কারণে ২০০৯ সালে উৎপাদিত টেকসই পাম তেলের ৩০ শতাংশই অবিক্রীত থেকে গিয়েছিল?
জার্মানিতে শুধু বায়োফুয়েলের ক্ষেত্রে 'টেকসই' পাম তেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক কিন্তু খাদ্য তৈরিতে টেকসই পাম তেল ব্যবহারের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অথচ জার্মানিতে যত পাম তেল ব্যবহৃত হয় তার ৯০ ভাগই হয় খাবার তৈরিতে। এছাড়া পণ্যের গায়ে থাকা লেবেলেও পণ্যটি যে পাম তেল দিয়ে তৈরি সেটা অনেক ক্ষেত্রে লেখা থাকে না। তাই দাবি উঠেছে লেবেলিং ঠিক করার।
পাম তেলের গল্পের শুরম্নটা ১৮৪৮ সালে, পশ্চিম আফ্রিকায়। এরপর সে তার গ-ি পেরিয়ে দূর প্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পাম তেল উৎপন্ন হয় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায়। বিশ্বে যত পাম তেল উৎপন্ন হয় তার শতকরা ৯০ ভাগই হয় ওই দুটি দেশে। এই ছবিটিকেই খুঁজছেন আপনি কিন্তু এটা করতে গিয়ে ক্রমেই বন উজাড় হয়ে যাচ্ছে। যেটা পরিবেশবাদীদের মাথা ব্যথার কারণ। তাঁরা বলছেন, আরও বেশি জমিতে পাম তেল চাষের জন্য ইন্দোনেশিয়ার রেইনফরেস্ট ক্রমেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যেমন ১৯৬৭ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অয়েল পামের চাষ হয়েছিল ২,০০০ বর্গকিলোমিটার অঞ্চলে, আর এখন তা ৩০ হাজার বর্গকিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। এভাবে বন ধ্বংস হতে থাকায় অবমুক্ত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কার্বন-ডাই অঙ্াইড। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ইন্দোনেশিয়া সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে সামাজিক সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে এই পাম তেল। কেন না বন কাটার কারণে আদিবাসীরা তাদের ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। এছাড়া ওরাংওটাংসহ সুমাত্রা ও বোর্নিওর হাতি, বাঘ ও গ-াররাও আজ হুমকির মুখোমুখি। এসব কারণে পাম তেলের যারা বড় ক্রেতা তারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। যেমন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর মূল টার্গেটে পরিণত হয়েছে ইউনিলিভার। কারণ বিশ্বে উৎপাদিত মোট পাম তেলের শতকরা চার ভাগই কিনে নেয় তারা। এছাড়া ফুড জায়ান্ট নেসলে তার বিখ্যাত আইটেম কিটক্যাটের বিজ্ঞাপনে ওরাংওটাংকে যুক্ত করে রীতিমতো বিপদে পড়ে গিয়েছিল। শেষমেশ প্রত্যাহার করে নেয় বিজ্ঞাপনটি।
এত সব আলোচনা-সমালোচনা, আন্দোলন ও উদ্বেগের কারণে কিছুটা সচেতনতা অবশ্য সৃষ্টি হয়েছে। যেমন টেকসই পাম তেল উৎপাদনের জন্য সৃষ্টি হয়েছে 'রাউন্ডটেবিল অন সাসটেইনেবল পাম অয়েল' নামক একটি সংগঠন। এতে অনত্মর্ভুক্ত করা হয়েছে খাদ্য উৎপাদক, প্রক্রিয়াজাতকারক এবং বিভিন্ন এনজিও ও বিনিয়োগকারীদের। এখানে 'টেকসই পাম তেল' বলতে সেসব তেলকে বুঝানো হয়েছে যেটা বনাঞ্চল ধ্বংস না করে উৎপাদন করা কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এমন তেল কিনতে গেলে দাম বেশি পড়ে। এ কারণে ২০০৯ সালে উৎপাদিত টেকসই পাম তেলের ৩০ শতাংশই অবিক্রীত থেকে গিয়েছিল?
জার্মানিতে শুধু বায়োফুয়েলের ক্ষেত্রে 'টেকসই' পাম তেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক কিন্তু খাদ্য তৈরিতে টেকসই পাম তেল ব্যবহারের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। অথচ জার্মানিতে যত পাম তেল ব্যবহৃত হয় তার ৯০ ভাগই হয় খাবার তৈরিতে। এছাড়া পণ্যের গায়ে থাকা লেবেলেও পণ্যটি যে পাম তেল দিয়ে তৈরি সেটা অনেক ক্ষেত্রে লেখা থাকে না। তাই দাবি উঠেছে লেবেলিং ঠিক করার।
ইমন
Source: www.dailyjanakantha.com, 25th Feb-2011
No comments:
Post a Comment